মতিহার বার্তা ডেস্ক: শেরপুরে চতুর্থ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার সকালে শেরপুর শহরের গৃর্দ্দানারায়নপুর মহল্লায় একটি বাসায় ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে। তবে ঘটনার মূল আসামি পলাশ পোদ্দার (৩৫) পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটির মা বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সদর থানায় মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শেরপুর শহরের গৃদ্দানারায়ণপুর এলাকার সোহানুর রহমান (৩০) ও তার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২৮)। দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী ছাত্রীটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ছাত্রীটি তার মায়ের সঙ্গে শেরপুর শহরের গৃর্দ্দানারায়নপুর মহল্লায় একটি ভাড়া বাসায় থাকে। একই বাসার দোতলায় সোহানুর রহমান ও মৌসুমি আক্তার থাকেন। তারা বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। গত রোববার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ছাত্রীটির মা কাজের উদ্দেশ্যে কর্মস্থলে যান। এর পরপরই সোহানুর ও মৌসুমির সহযোগিতায় পলাশ পোদ্দার (৩৫) নামে এক ব্যক্তি ছাত্রীটির বাসায় প্রবেশ করে। সে ছাত্রীটিকে চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ঘটনার পরপর পলাশ সুকৌশলে পালিয়ে যায়।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ছাত্রীটি তার মাকে এ ঘটনার কথা খুলে বলে। পরে স্থানীয়রা মৌসুমি আক্তারকে আটক করে সদর থানায় সোপর্দ করে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সোহানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
মতিহার বার্তা ডট কম – ১৯ আগস্ট ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.